কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেরুকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে স্বাগতিক ব্রাজিল। ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে পেরুকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে কোপা চ্যাম্পিয়ন হলেন তারা।
কোপা আমেরিকার এবারের আসরের টপ ফেভারিট ছিল ব্রাজিল। প্রথম রাউন্ড থেকে দারুন খেলে ফাইনাল পর্যন্ত এসেছে ব্রাজিল।
গত রোববার দিবাগত রাতে অনুষ্টিত ফাইনালে পেরুকে বিধ্বস্ত করে চ্যাম্পিয়ন খেতাব লাভ করে। এর আগে সেমিফাইনালে চিরপ্রতিধ্বন্দি আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট কাটে ব্রাজিল।
এভারটন, জেসুস ও রিশার্লিসনের গোলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ব্রাজিল। তবে ম্যাচের নায়ক ছিলেন গ্রাবিয়েল জেসুস। নিজে এক গোল করার পাশাপাশি আরকে গোলের এসিস্টও করেন তিনি। এভারটনের প্রথম গোলের এসিস্ট করেন তিনি।
রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ও বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল ও পেরু। শুরু থেকেই শৈল্পিক ফুটবল উপহার দেয় সাম্বা দল খ্যাত ব্রাজিল, ম্যাচের ১৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
পেরুর মিডফিল্ডের দুজনকে ফাঁকি দিয়ে ডান দিক থেকে ক্রস বাড়ান জেসুস। ডি বক্সে অপ্রস্তুথ থাকা অবস্থায় এভারটন নিজ দক্ষতায় বল ধরে পাঠিয়ে দেন জালে। ১-০ তে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
প্রথম গোল হজম করে আক্রমণের গতি বাড়ায় পেরু। একের পর এক আক্রমন করে ব্রাজিলের রক্ষন কাপিয়ে তুলে পেরুর খেলোয়াড়েরা। দারুন সব আক্রমন করে ৪৪ মিনিটে পাওলো গেররেরোর সফল স্পট কিকে সমতায় ফেরে পেরু।
ডি-বক্সে থাকা ব্রাজিলের রক্ষনভাগের অন্যতম কান্ডারি থিয়াগো সিলভার হাতে বল লাগলে সাথে সাথে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পরে ভিএআর প্রযুক্তিতে যাচাই করে সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত রাখেন তিনি। পোনাল্টিতে গোল আদায় করে সমতায় ফিরে পেরু।
কিন্তু পেরুর সমতায় ফেরার স্বস্তি বেশিক্ষণ ঠিকেনি। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে আর্থারের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে তাদের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন জেসুস। আসরে এটি তার দ্বিতীয় গোল।
২-১ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে দু দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে একে অপরের রক্ষন ব্যস্ত রাখে। কিন্তু ম্যাচের ৭০ মিনিটে বড় এক ধাক্কা খায় ব্রাজিল। পেরু ডিফেন্ডার কার্লোস সামব্রানোকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিল তারকা জেসুস।
দশ জনের দলে পরিনত হওয়া ব্রাজিলকে গোল দিতে মরিয়া হয়ে ওটে পেরু। কিন্তু উল্টো নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গোল হজম করে ফেলে পেরু। পেরুর ডি বক্সে ব্রাজিলের এভ্রটনকে ফেলে দেন পেরুর রক্ষনভাগের খেলোয়াড় সামব্রানো। সাথে সাথে রেফারি পোনাল্টির বাশি বাজান। পোনাল্টি থেকে গোল আদায় করেন ফিরমিনোর বদলি নামা রিশার্লিসন।
রেফারীর শেষ বাজি বাজানোর মাধ্যমে খেলা শেষ হয়। উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো গ্যালারি। পেরুকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা। এ নিয়ে ল্যাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নবমবার শিরোপা ঘরে তুললো ব্রাজিল।