বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই আফগানিস্তানকে নিয়ে নানা ধরনের আশা জাগানিয়া কথা শোনাচ্ছিলেন কেউ কেউ। বিশ্বকাপে তাদেরকে আন্ডারডগ তকমা লাগিয়ে দিয়েছিলেন অনেকেই। বিশ্বকাপে আফগানিস্থান দারুন কিছু করবে এমন কথাও বলা হয়েছিল।
কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলতে আসা আফগানিস্তান এবারের আসরে এখন পর্যন্ত খেলা ৭টি ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে। ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচে শুধু জয়ের আশা জাগিয়ে হেরেছে। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মাশরাফি-সাকিবদের একরকম হুমকি দিয়েছিল আফগানরা। তবে বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পায়নি তারা। ৬২ রানে হেরে মাঠ ছেড়েছে।
আফগানিস্থান দল মানেই যেন এখন বিতর্ক। বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকে এখন পর্যন্ত মাঠের পারফম্যান্স যতটা না দেখাতে পারছে, তার চেয়ে বেশী বিতর্ক দেখাতে পারছে তারা। বিশ্বকাপ শুরুর আগে অধিনায়ক বদল, বিশ্বকাপের মাঝখানেই ইনজুরির অজুহাত দেখিয়ে ক্রিকেটারকে জোর করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া, এসব ছিল তাদের নিত্য সঙ্গি।
প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে অপেশাদারিত্ব কথা বার্তা বলায় দুর্নাম কুড়াতে হয়েছিল তাদের। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে হুংকার দিয়েও ম্যাচ হেরে মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে এবার নতুন বিতর্কের জন্ম দিল তারা।
ম্যাচ হেরে ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় সাউদাম্পটনের রোজ বোল স্টেডিয়ামের গ্যালারির সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নাবী-রশিদ খানরা। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমলোচনার মুখোমুখি হচ্ছে আফগানিস্থানের খেলোয়াড়েরা। বিশেষ করের আফগান ক্রিকেটার নাবির অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি মানতে পারছেন না অনেকেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে পাওয়া এক মিনিটের ভিডিওতে দেখা যায়, ড্রেসিংরুমে যখন ফিরছিলেন আফগান ক্রিকেটাররা, তখন গ্যালারি থেকে চিৎকার করে নাবি-রশিদদের নাম ধরে ডাকতে থাকেন সমর্থকরা। এরপর সমর্থদের বলতে শোনা যায়, নাবি-রশিদ দেশের খেলা বাদ দিয়ে আইপিএল খেলতে যাও, ডলার কামাতে পারবে।
একথা শোনার পর মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি আফগান ক্রিকেটার নাবি। ড্রেসিংরুমের ভিতরে ঢুকে যাওয়ার আগ মুহূর্তে গ্যালারির দিকে উদ্দেশ্য করে নাবি হাতের মধ্যমা আঙুল এবং হাত দিয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেন।
এরপর রশিদ খান সমর্থকদের দিকে হাত উঠিয়ে থাপ্পড় দেওয়ার অঙ্গভঙ্গি করেন। পড়ে মাঠে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা রশিদ খানকে থামিয়ে দেন। ড্রেসিংরুমে ঢুকার আগ পর্যন্ত রশিদ বার বার পিছনে ফিরে থাকাচ্ছিলেন।